সুনামগঞ্জ , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, ধাপে ধাপে এগোবে সরকার : উপদেষ্টা হাসান আরিফ সুনামগঞ্জ-৩ আসনে তালহা আলমকে প্রার্থী ঘোষণা শান্তিগঞ্জে বিএনপি’র কর্মীসভা ও প্রবাসীদের সংবর্ধনা দ্বিতীয় দিনেও মঞ্চ মাতালেন নাট্যকর্মীরা আমন ধানে হাসছে কৃষক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা তুমি যে চেয়ে আছ আকাশ ভরে দুই দিনের রিমান্ডে ব্যারিস্টার সুমন দিরাই আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা ধর্মপাশা কৃষি ঋণ কমিটির সভা এসএসসি’র টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা জাউয়াবাজারে কৃষক দলের কমিটি গঠন ছাতকে গৃহবধূর আত্মহত্যা জনগণ যাতে সকল ক্ষমতার মালিক হতে পারেন তেমন দেশ গড়তে চাই : প্রধান উপদেষ্টা ধোপাজান-চলতি নদী : পথ বদলে চলছে বালু-পাথর লুট জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা : শুনানি শেষ, রায় যে কোনো দিন অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেবে স্পেন পথনাটক উৎসব উদ্বোধন জামালগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

শ্রীলঙ্কায় বামপন্থিদের বিস্ময়কর উত্থান যেভাবে হলো

  • আপলোড সময় : ২৪-০৯-২০২৪ ০১:০১:১১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৯-২০২৪ ০১:০১:১১ পূর্বাহ্ন
শ্রীলঙ্কায় বামপন্থিদের বিস্ময়কর উত্থান যেভাবে হলো
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন বামপন্থি নেতা অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরদিনই দেশ পরিচালনার ভার গ্রহণ করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে অনন্য এক রেকর্ডের মালিক হলেন দিশানায়েকে। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে তিনিই প্রথম বামপন্থি নেতা, যিনি প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসলেন। ২০২২ সালে গণবিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে পালানোর দুই বছরেরও বেশি সময় পর ফের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেলো শ্রীলঙ্কা। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন দিশানায়েকে। তার নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়াগার (এসজেবি) নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট। আর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান রনিল বিক্রমাসিংহে পেয়েছেন মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট। ক্ষমতাচ্যুত রাজাপাকসে পরিবারের নবীন সদস্য হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন নামাল রাজাপাকসে। তবে লড়াইয়ে দাঁড়াতেই পারেননি তিনি। মাত্র ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন নামাল। বামপন্থিদের অবিশ্বাস্য উত্থান : এবারের নির্বাচনে ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের প্রার্থী ছিলেন জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) দলের প্রধান অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। এই জোট এর আগে কখনো শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলও ছিল না। দেশটির ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে এই জোটের আসন ছিল মাত্র তিনটি। কিন্তু গণবিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালানোর পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জেভিপির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ওই বিক্ষোভে সক্রিয় ভূমিকা ছিল দলটির। আন্দোলনের পর জেভিপি বৃহত্তর পরিবর্তনের ডাক দেয়। বিশেষ করে সামাজিক ন্যায়বিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলটির অনড় অবস্থান জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করে। দলের সঙ্গে বাড়তে দিশানায়েকের ব্যক্তিগত আবেদনও। একই সময়, রাজাপাকসেদের পতনের পর শ্রীলঙ্কার হাল ধরা প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের বিভিন্ন পদক্ষেপ সাধারণ মানুষকে রুষ্ট করে। তিনি মূলত অর্থনীতির চাকা সচল করতে গিয়ে বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নেন। আয়কর বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের ওপর করারোপ, ভর্তুকি কমানোর মতো সিদ্ধান্তগুলোর কারণে ভোটারদের কাছে অপ্রিয় বনে যান রনিল। শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত কোনো কর্মসূচি দিতে ব্যর্থ বিরোধী দলের ওপরও ভরসা রাখতে পারেনি সাধারণ মানুষ। আর রাজাপাকসে পরিবারের সদস্য নামালকে বিবেচনাতেই আনেননি বেশিরভাগ ভোটার। এ অবস্থায় চমক দেখায় মার্ক্সবাদী দল জেভিপি। বামপন্থি দলটি একসময় সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত ছিল। গত শতকের সত্তর ও আশির দশকে দুটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা। কিন্তু রাষ্ট্র এর চরম প্রতিশোধ নেয়। গণগ্রেফতার, নির্যাতন, অপহরণ ও গণহত্যায় দল সংশ্লিষ্ট কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে দলের প্রতিষ্ঠাতা রোহানা উইজেবিরাসহ বেশিরভাগ জ্যেষ্ঠ নেতাও ছিলেন। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর ৫৫ বছর বয়সী দিশানায়েকে জেভিপির পলিটব্যুরো সদস্য হন। দলও সহিংসতার পথ থেকে সরে আসে। শান্তির পথে বিপ্লব অর্জনের কথা ঘোষণা করে তারা ভোটে অংশ নিতে শুরু করে। যদিও বিগত সংসদে তাদের মাত্র তিনজন সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু এবার সবাইকে চমকে দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সরকার গঠন করছে শ্রীলঙ্কার বামপন্থিরা। বিশ্লেষকদের মতে, দিশানায়েকে সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে একটি বৃহত্তর জোট গড়ে তুলতে পেরেছেন। এটিই তাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স